শিশু দিবস
আমাদের প্রিয় দেশ ভারতে শিশু দিবস প্রতিবছর ১৪ ই নভেম্বর পালিত হয়। এর দ্বারা আমাদের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পন্ডিত জওহরলাল নেহেরুর প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হয়। এবং তাঁর জন্ম দিনটিকে স্মরণ করা হয়।
এছাড়া শিশুদের অধিকার, শিক্ষা এবং যত্নের প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া হয়ে থাকে।
 |
| Childrens Day |
শিশু দিবসের গুরুত্ব
জওহরলাল নেহেরুর চিন্তা ও চেতনায় ছিল - "আজকের শিশুরাই আগামী ভারত তৈরি করবে। আমরা যেভাবে তাদের লালন পালন করব, সেই ভাবেই দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হবে।"
শিশুদের মৌলিক অধিকার গুলি সুনিশ্চিত করাই হলো শিশু দিবসের গুরুত্ব। যেমন:
- শিক্ষা স্বাস্থ্য ও পারিবারিক মূল্যবোধের অধিকার গুলি পাওয়ার সুযোগ সুবিধা তৈরি করে দেওয়া।
- একটি মেয়ে এবং একটি ছেলে সন্তানের মধ্যে পার্থক্য না করা।
- শিশুশ্রম বন্ধ করা।
- শিশু নির্যাতন বন্ধ করা।
- শিশু অপরাধ বন্ধ করা।
শিশু দিবসের উক্তি
"বড়দের জন্য আমার কাছে সময় নাও থাকতে পারে। কিন্তু ছোটদের জন্য আমার অনেক সময় আছে।" - জওহরলাল নেহেরু
"আজকের শিশুরাই আগামীতে করবে দারুন কিছু।"
"প্রত্যেক শিশুই হলো একটা ভিন্ন ধরনের ফুল এবং তারা একসাথে মিলে এই দুনিয়াকে একটা সুন্দর বাগিচা বানাতে পারে।"
"শিশুরা হল মাটির তাল। তাদের যেভাবে গরতে চাইবেন, তারা সে এভাবেই গড়ে উঠবে।"
শিশু দিবসের ইতিহাস
- ১৯৪৭ সাল থেকে ১৪ ই নভেম্বর তারিখটি ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পন্ডিত জওহরলাল নেহেরুর জন্মদিন হিসেবে উদযাপন করা শুরু হয়।
- ১৯৫৭ সালের ১৪ ই নভেম্বর একটি বিশেষ সরকারি আদেশ দ্বারা ভারত সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে শিশুদিবস হিসেবে ঘোষণা করেন।
- ১৯৬৪ সালে আমাদের প্রিয় চাচা নেহেরুর মৃত্যুর পর ভারতে তার জন্ম তারিখটিকে (১৪ ই নভেম্বর) শিশু দিবস হিসেবে প্রতি বছর পালন করা হয়।
- যদিও জাতিসংঘ কর্তৃক স্বীকৃত ২০ নভেম্বর তারিখটি 'বিশ্ব শিশু দিবস' হিসেবে পালিত হয়।
উপসংহার
আসুন আজ থেকে আমরা প্রতিজ্ঞা করি যে, ১৪ ই নভেম্বর দিনটি শুধুমাত্র শিশু দিবস হিসেবে পালন না করে বছরের প্রতিটি দিন শিশুর শিক্ষা ও বিকাশের জন্য প্রচেষ্টা করি।
Comments
Post a Comment